স্বদেশ ডেস্ক:
পাবনায় সদর উপজেলায় বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা হায়দার আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বাড়িওয়ালা হায়দার আলীর সহযোগিতায় তিনিসহ শিবরামপুর এলাকার চার যুবক অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে।
জানা গেছে, দুইমাস আগে ভুক্তভোগী নারী তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হায়দার আলীর বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে ওঠেন। তার ভাই গার্মেন্টস কর্মী। অতিরিক্ত কাজের চাপে গত বুধবার তিনি বাসায় ফিরতে পারেননি। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তিনি। পরে দুইটার দিকে তার ঘরে আসেন হায়দার আলী। এ সময় শিবরামপুর এলাকার ওই চার যুবকও ঘরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
রাত দুইটা থেকে গতকাল বুহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচজন মিলে তাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন। ঘরে ফিরে বোনকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন ভুক্তভোগীর ভাই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িওয়ালা হায়দার আলীকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।